লেখার ডাগর মাঠ


বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৭

প্রাচীন শৈশব

প্রাচীন শৈশব
দেবজ্যোতিকাজল

আমার সাথে হেঁটে চলে প্রাচীন শৈশব
আমার হাতে হাত রেখে
                          হলুদ সরল পথে ।

আমার সাথে চলে আসে

জীবিত আকাশ পথে , নক্ষত্রের গা ছুঁয়ে

গান গেয়ে , ভালবাসাকে জড়িয়ে
                               নাচতে নাচতে ।

হে প্রাচীন শৈশব ,
আমাকে পিছনে ছেড়ে দিও না
আমার সাথে এসো
আমার পুরনো বাড়ির অতীত থেকে
প্রাচীন করতোয়া থেকে
পুরনো হোল্লর শহর থেকে,
আমার প্রাচীন কবিতার সন্তান নিয়ে,

যেখান থেকে পাওয়া যায়-
স্মৃতির জ্ঞান-অর্জনের প্রজন্ম ।

হে প্রাচীন শৈশব ,
আমার সাথে এসো , কাটাব ক্লান্ত রাত
আমরা কখনও আর হব না পৃথক

আমার শৈশব কে নিয়ে
               সাঁতরাবে আমার বর্তমান
অনন্তকাল ধরে প্রতিশ্রুতির শব্দ নদীতে ।

হে প্রাচীন শৈশব ,
আমার সাথে চলে এসো ,
ফিরে দেখি সেই হাসা-হাসি
এই পুরনো মানুষের ভিতরে ।

আমাকে বাঁচিয়ে রাখার মত-
নেই কোন প্রজন্ম । তুমি ছাড়া ।

আমি বহু দূর চলে গেছি জেগে ,
                    দেখতে প্রহরী ক্ষত
অন্ধকারের ভাঁজে , যে আলোটুকু
টুকরো টুকরো বিবর্ণীয় আলো ছায়া
তার মাঝের দেওয়াল দাঁড়িয়ে ডাকে
                  আমার প্রাচীন শৈশবকে ।

হে প্রাচীন শৈশব ,
আমার কাছে চলে এসো
এই পুরনো মানুষটির ভিতরে ,
                                    হেসে ওঠে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন