প্রাচীন শৈশব
দেবজ্যোতিকাজল
আমার সাথে হেঁটে চলে প্রাচীন শৈশব
আমার হাতে হাত রেখে
হলুদ সরল পথে ।
আমার সাথে চলে আসে
জীবিত আকাশ পথে , নক্ষত্রের গা ছুঁয়ে
গান গেয়ে , ভালবাসাকে জড়িয়ে
নাচতে নাচতে ।
হে প্রাচীন শৈশব ,
আমাকে পিছনে ছেড়ে দিও না
আমার সাথে এসো
আমার পুরনো বাড়ির অতীত থেকে
প্রাচীন করতোয়া থেকে
পুরনো হোল্লর শহর থেকে,
আমার প্রাচীন কবিতার সন্তান নিয়ে,
যেখান থেকে পাওয়া যায়-
স্মৃতির জ্ঞান-অর্জনের প্রজন্ম ।
হে প্রাচীন শৈশব ,
আমার সাথে এসো , কাটাব ক্লান্ত রাত
আমরা কখনও আর হব না পৃথক
আমার শৈশব কে নিয়ে
সাঁতরাবে আমার বর্তমান
অনন্তকাল ধরে প্রতিশ্রুতির শব্দ নদীতে ।
হে প্রাচীন শৈশব ,
আমার সাথে চলে এসো ,
ফিরে দেখি সেই হাসা-হাসি
এই পুরনো মানুষের ভিতরে ।
আমাকে বাঁচিয়ে রাখার মত-
নেই কোন প্রজন্ম । তুমি ছাড়া ।
আমি বহু দূর চলে গেছি জেগে ,
দেখতে প্রহরী ক্ষত
অন্ধকারের ভাঁজে , যে আলোটুকু
টুকরো টুকরো বিবর্ণীয় আলো ছায়া
তার মাঝের দেওয়াল দাঁড়িয়ে ডাকে
আমার প্রাচীন শৈশবকে ।
হে প্রাচীন শৈশব ,
আমার কাছে চলে এসো
এই পুরনো মানুষটির ভিতরে ,
হেসে ওঠে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন