পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, জানুয়ারী ৩০

দখলদার শিকারী

আমি অভিযোগ করতে
কোন সংশ্লেষ বা ইঙ্গিতের
কুসংস্কারের সমার্থক খেলা খেলিনি

কিন্তু আবছায়া দৃষ্টিভঙ্গি, পবিত্র ভূত ছাড়া
নারকীয় মাত্রা বা অতিরিক্ত সংজ্ঞাবহ উপলব্ধি
আমি আপনার নির্দিষ্ট  হৃদয়ঙ্গম করতে
কোন রেফারেন্স টানিনি যে আপনি আছেন ।

আমি আপনার স্বীকারোক্তি
অনুরোধ , সাধ ও জিজ্ঞাসাবাদ-
ভর্তি সেশনের জন্য  অনুমতি করিনি

অনুরোধ করছি
ধর্মের জন্য স্নেহ , আপনার অবস্থানে
সম্মান ও শ্রীহীন সঙ্গ দলাদলি ছাড়ুন ।

আপনার শান্তি যেনো নশ্বর শান্তি
অপমান জনক নিপীড়ন ও সন্তুষ্টি
গোলাবারুদের মত নিষ্পত্তিমূলক বিধ্বংসি

আপনি উদ্দেশ্যমূলক রাজনীতিবিদ
আপনি সন্দেহের টেলিভিশন আতিথ্য
পোষাকি জাতিগত দোষ সাব্যস্ত দেখাতে ব্যস্ত ।

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৬

বাণী

আমি মানুষের মধ্যে ঈশ্বর দেখতে চাই না , মানবতা দেখতে চাই ।

-নাস্তিক দেব

সোমবার, জানুয়ারী ২৩

আগুন দেহ পুড়ে ছাই

তুমি আমার জীবনের দূর্ভিক্ষ
যখন কিছু দিতে বা পেতে যেতাম ।

ফিরে দেখার ক্যালেণ্ডার স্লাইডে
জামা-কাপড়ের ভাজে তুমি গভীর দাগ ।
টুকর টুকর সিক্ত বিষাদে সেই তুমি দূর্ভিক্ষ ।

রূপক স্বপ্ন পাথরের মত ঘুমায়
সোহাগপূর্ণ বিনিয়ম বিছানায়  ।

আমার ব্যথার লক্ষণ চোখের
                  চোখের তলদেশে ঢেকে রাখি ।
বাতাসে যাওয়া-আসা ভেল্টি জুড়ে ফুড়ুৎ
                                 তোমার ছায়া পাখি ।

তোমার ভালবাসা !
সে-তো প্রতি ইঞ্চি স্ফটিক গভীর খাদ
দূর্ভিক্ষের মত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ক্ষুধা
রাজস্ব আদায়ে চরম বিপর্যয়ে সেই তুমি
মারাত্মক শব্দে অসতর্ক তার কবিতা লাশ ।

তবুও তুমি ডায়রীর মোহনায় কলমে সঙ্গম ।

তুমি আমার গভীর রাতের জেগে থাকা চোখ
শেয়ার কৃত দীর্ঘশ্বাস ,
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নিষিদ্ধ চিন্ময়
আরও কত কি , জানা নেই !

জানা নেই ,
তোমার প্রাচীর কঠিন আলিঙ্গন আড়াল
প্রতীক্ষার হাসি ,অপ্রচলিত মেঘ বৃষ্টি ।

ছেঁটে ফেলা কথা নিয়ে দাঁড়িয়েছি
রবি ঠাকুরের রেখাচিত্র গানের ওপারে ।

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৭

মাধবী

আমার তর্জনি আর বৃদ্ধাঙ্গুলের মাঝে
গভীর আগুন দেহ কলমটা দাঁড়িয়ে থাকে
                          প্রতিবাদী মিছিলের মত
                           বিরোধী দলের মোশালে

তরুণ পাখিটা গাছের এডাল থেকে ওডাল ওড়ে
ফুলের মধুতে উড়ে বেড়ায় ঠোঁটের চুম্বন

মাধবী বালা । ছোট্ট মাধবী বালা
বালিকা নেই । কিশোরী মাধবী বালা

শীত হাওয়া গা বেয়ে শিরশির শরীর
হঠাৎ দোল খায় কেপে ওঠা ঘর-বাড়িতে
মরণের ভয় খোদাই করা যৌবন পাথর ।
গৃহ পালিতের মত যত্ন করে ভোগের প্রসাধনী
মাধবী গান শেখে ভাল বিত্তবান বর পেতে
মাধবী কলেজে যাবে বাকি জীবনের পূঁজি খুঁজতে
মাধবী নারী । কিন্তু মানুষ নই ,গৃহপালিত ।

নারী পাথরের মত ঘুমায় । যে বাবা
তার সমাজ জীবনে পাল তুলে দিয়ে ,
মারা গেছে । পুড়ে গেছে সেই সীমানা ঘেষা মেঘ
মাধবী তারই কাছে মাথা নত করে
খোঁজে সারা শরীরে অযৌবন ফাঁকে লুকাতে ।

যে প্রার্থনা প্রস্রোব যন্ত্রণায় দাঁড়িয়ে কাঁদে
তার নরম মেরুদণ্ডে মাধবী অমেরুদন্ড
মাধবী তুই মেয়ে মানুষ , শুধু মানুষ নও
বুকটা সামাল কর , মাথাটা নীচু কর
পোষাক সামাল ,সামাল মাধবী
ছিড়ে নিবে পুরুষ ধর্ষক কুমারী বায়ু গন্ধে ।
জঙ্গী শিশ্ন আবেগ নিয়ন্ত্রনে সে পুরুষ ।

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১০

তুমি আমাকে ভুলে গেছ

স্তব্ধ অনুভূতি বিচিত্র স্পর্শ
নীল আশ্চর্য নৈপুন্য আঁকে বুক
এ স্পর্শ ছিল নিদারুণ জীবন্ত 
এক ঘেয়েমি পচনশীল অন্ধকার ।

একমাত্র তুমিই ছিলে চোখের স্থলাংশে
তরল রোদের শুভেচ্ছে ।

💔

শৃগাল সতর্ক ডাক , নীল নগ্ন জঙ্গল
সদ্য জাগ্রত শব্দ , কাঠঠোকরা সিক্ত বিষাদ ।
মুখের উপর মেঘ , অপ্রচলিত রূপক স্বপ্ন
আমার মন যখন অপীত
মেরুদণ্ড পাঠায় কাঁপুনি
তখনও জানা হয়নি , স্তব্ধ অনুভূতি মানে কি
তার স্পরশের মানেই-বা কি !

তাই নীরব থাকি , মন কষাকষি সরিয়ে রেখে
ব্যথার লক্ষণ যতই গভীর খটখচে হোক
তবু টুকরো টুকরো হয়নি দু’চোখের তলদেশ
লুকিয়ে রেখেছি জামা কাপড়ের ভাজে নীজেকে ।

সোমবার, জানুয়ারী ৯

শব্দ সেতুবিচ্ছেদ

প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব নদী থাকে
থাকে হাঁটুজল, দু'চোখ ভরা পুরনো স্পর্শ
দক্ষ ডুবুরির মত সমর্পন বৃত্ত তুলে আনে জাদুতে
সুদৃশ্য বহুদূর যেখানে মাটি সরে গেছে ঘরের কোণে
নিম্নজ্জিত ব্যস্ত মাঝির পালতোলা ডিঙি
বাতাসের কম্পন তৃষ্ণাফাঁটা গান ধরে
গোল হয়ে ঘুড়ে বেড়ায় কানপাশা হয়ে বুকে। 

তবুও শোকের পরে শোক ওড়ে চিরন্তন প্রজাপতি
নিজের সংসার বলতে হারানো সম্পর্ক যাদু আগুন
এত কিছুর পর ভাষার শেষরাতে শহর জাগে
আমি সেই শহরে সাপলুডোর মত উপর নীচ করি |
তবুও তুমি সর্বাঙ্গে উড়ো কামুক ধূলো
ঋতুবদল পর্বাঙ্গে উড়ে এসে নোঙ্গর ফেলো
সবশেষে বিন্দু বিন্দু হতে হতে 
বছরটা ভরে গেলো জঙ্গলে
দ্যাখা হবে পরজন্মে চৌক চিতার আগুনে
জীবন পেরিয়ে আহত তারার সাথে

উত্তরবাহী বিছানার পাশাপাশি
কষ্টকোষ বেলফুলের মালা পরে |

একটি উড়ন্ত বৃষ্টি


হঠাৎ স্তব্ধবাক রাত্রিতে জেগে জানালায় দাঁড়ায় 
অপূর্ব বসন্ত জোয়ার. ধবল হরিণী মখমহল চাঁদ
       জানালার শিকে বাতাসের দাঁত , ঠাসাঠাসি তুমি
হঠাৎ মনে পড়ে গেল তোমাকে ;
             তুমি কেমন আছ ?
             এখন কি করছ ?
             ঘুমি পড়েছ বুঝি ?
          না-কি জেগে আছ ?
আ-আমাকে মনে পড়ে । দিনগুলো ?
জানালার পাশে চন্দ্রমল্লিকা , ধর্ষিত বায়ুমণ্ডল
ফিসফিস গন্ধ ছড়িয়েছে । তনু গন্ধে ।
আমার নাক, চোখ , চড়ুই মন , ছোপ ছোপ যৌবন
হারিয়ে যাওয়া রোশনাই ঘরে , তুমি সূর্য আমি কক্ষপথ ।
তোমার প্রথম হাসি-
যেমন ক’রে ছিলে আমার স্থগিত হাঁটা ।
বর্ণাঙ্ক , সত্যি সত্যি সত্যি বলছি । তিন সত্যি ।
চোখের নেশায় কখনও ভালবাসি নি
ক্ষতিয়ে দেখিনি সামনে পিছনে কখনও
আলো ও উদ্যম উজ্জ্বল উচ্ছ্বসিত ছিল ,
               ছিল না এত বিষ্ময় দোটানা ।
হঠাৎ একদিন কি হয়ে যেতে পারি জানো !
মৃত উল্কা কিম্বা শুকিয়ে যাওয়া চোখ নদী
গরম হাওয়া নীল কিশোরী তনু মরু
গহীন অরণ্য-দাবানল , চেপে থাকা ধোঁয়া
মহিমময় উদভ্রান্ত জবুথবু জীবন যাত্রা
তোমার দেওয়া অপ্রস্তুত ভীরু সুগন্ধি
কে জানে , বসন্ত সমুদ্রে ডুবে গেল স্তনভারে  ।
না , বর্ণাঙ্ক , বিশ্বাস কর ।
আমি কক্ষণও তোমাকে উন্নাসিকে ভালবাসিনি
ভাবিনি বাঁচতে গিয়ে জীবন্ত পুড়ে মরতে হবে
নিভৃতে ডেকে চিৎকার বজ্রে শ্রবনশক্তিকে
দূর্বল করে দিবে
ভালবাসার অদেখা নিশ্বাসে জড়িয়ে ধরে
ছিঁড়ে দিলে হাইপোথ্রারাপিক নার্ভ
তবুও আমি ছুঁয়েছি গোধুলি আঁচল টেনে
ধরে রেখেছি জিহ্বা-তালুতে তোমার নাম ,
                        নিজেকে কৃতজ্ঞ জানিয়ে ।
বর্ণাঙ্ক , তোমার কি এখনও ইচ্ছে হয়
দু’ঠোঁটে আমার বিজন বুক স্পর্শ করতে
তোমার কি এখনও ইচ্ছে হয়
“ সুন্দর মানুষ বলে” শান্তনা দিতে
তোমার কি এখনও ইচ্ছে হয়
আমার ঠোঁটের ছায়ায় সাধক বিছানায় ঘুমাতে
তোমার কি এখনও ইচ্ছে হয়
চোখের ঈশারায় পেতে আলতু পাশাপাশি
তোমার কি এখনও ইচ্ছে হয়
পায়ে পায়ে ছুঁয়ে দিয়ে , প্রাপ্তবয়স্কে ধ্যানস্বাদ নিতে
তোমার কি এখনও ইচ্ছে হয়
তোমার পাশে বসিয়ে ,ডাকনামে গল্প করতে
তোমার কি এখনও ইচ্ছে হয়
হাত ধরে রবি ঠাকুরের ভালবাসি ভালবাসি গাইতে ।
তোমার ইচ্ছে ডানায় এক টুকরো কাগজে
তোমার গোলাপী ঠোঁটের ছাপ
                             পাখি হয়ে উড়ে গেছে ।
অভিশাপ্ত মেঘ ডাকে,ঝরে গুঁড়িগুড়ি শব্দ বৃষ্টি
মনে পড়ে তোমায় , কানায় কানায় পূর্ণ ।
জীবন্ত দিন মাঝে মাঝে কঠিন ,গভীর কালো
হাতের মধ্যে সে অন্ধকার পুড়ে ছাই ।
এই গভীর রাতের যাদু মঞ্চ , জানালার ওপাশে
দাঁড়িয়ে দেখি ধাঁধা যাদু , রুমল থেকে বিড়াল ।
তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ জানি । দিব্যি ঘুমিয়ে ।
অপরিচিত শহর তোমার স্থায়ি ঠিকানা । সেও জানি ।
অপরিচিতরাই তোমার এখন-
                          সূর্য্যাস্তের রঙ
                        কপালের রঙ
                 শাড়ি ব্লাউজের রঙ ।
আমার প্রতীক্ষার হাসি এখন নিষিদ্ধ চুমু
হয়তো শেষ হবে না আমার কান্নার মেয়াদ ।

রবিবার, জানুয়ারী ৮

হে বসন্ত ! ফিরিয়ে দাও নিয়েছ যতটা


বেদনাটা বুকের বোঝা , একলা বয়ে বেড়ায়
নিরুপায় নির্জন পথে একলা , জনপদ শূন্য
হাঁপিয়ে উঠেছে একলা জীবন , গভীর দু'কুলে ।
অপ্রস্তুত সুরঙ্গে ঢুকে পড়ে জলভরা মেঘ
শরীর ছুঁয়ে , দমচাপা হানাদেয় কান্না ।
তবুও বসন্ত আসে-যায় ।।
কত দহন , নিগূঢ় ছায়া
চড়ুয়ের মত ফুরুৎ , শীর্ণ মায়া ।
হে বসন্ত উঁকি দিয়ে যাও ।
আমার প্রত্যেক প্রত্যাশা একলা হেঁটে চলে
স্তব্ধবাক্ সরীসৃপের মত । নদী
হিজিবিজি পথ , ভুল শব্দ
নির্জনে বসে ক্ষয়িষ্ণু সাধকে
তোমার স্তব করি হে বসন্ত
ফিরিয়ে দাও যতটা নিয়েছ ।
গোপন হয়ে আছে সব গল্প
অন্যপিঠে জানা হবেনা আর তোমার গল্প
তবুও অতর্কিতে দরজা-জনলা খুলে রাখি
সাহসের কালশিটেয় আঙুল ছুঁয়ে স্বপ্নে ।
বসন্ত এসে গেছে , উষ্ণ মুঠোয়
ফিরিয়ে নাও দমবন্ধ শিসমহল
অন্ধকার মিথ্যে হয়ে যাক
বেঁচে থাকতে যতটুকু লাগে ।

গানের মত থেমে যায়


অতীত সূর্যউদয় সূর্যাস্তের মত পুরনো
অতীত চলতে চলতে পুরনো দিনের
গানের মত থেমে যায়, কখনও
আবার থেমে যাওয়ার মত করে
থামতে পারে না ৷
যারা চলে গেছে, তারা অতীত
যারা আছে তারাও অতীত
যারা বিচূর্ণ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে
ভাঙা রাজপ্রাসাদের ইটের মত ৷ তাঁরা
পুরনো অতীতকে পুরনো করছে
আমি তাদের কথাই বলবো ৷ কিম্বা
বলবো না, অনেক জনের কথা
হয় তো বা শুধু একজনের
সে অতীত ছিলো
সমবয়সীর চেয়ে দুবছরের ছোট
আজ তা এসে দাঁড়িয়েছে পঁচিশ বছরে
পঁচিশের বসন্ত প্রাচীতে ৷
যখন পূর্ণীমার চাঁদ
মধুময় আকাশ , সূর্যের কাঁধে হাত
রেখে দাঁড়িয়ে থাকে ৷ তখনই
শুরু হয় অবির আর রঙের খেলা ৷
চোখ তখন সৃষ্টি করে দর্শন শাস্ত্রকে
আর মন! সৃষ্টি করলো ফ্রয়েড কিম্বা লর্ড বাইরণ কে ৷
যারা অতীত তারা সূর্যউদয় সূর্যাস্তের
মত পুরনো ৷ তারা চলতে চলতে
থেমে যায় পথের মাঝে শ্বাস কষ্টে
দাঁড়িয়ে থাকে চোখ ভাঙা চাঁদের মত ৷
আজ তাঁদের কথাই বলবো
হে পাঠক!
এক্ষণি বাজবে স্কেলিটনের ঘন্টা
পথে মাঝে এসে
ব্যাক্তিটি শ্বাস-কষ্টে দাঁড়াবে
হ্যাঁ দাঁড়িয়ে আছে ৷
কাঁধে কী ছিলো? হ্যাঁ হ্যাঁ ছিলো ৷ কি যেনো ছিলো! একটা ঝোলা ৷ হ্যাঁ ঝোলা ঝুলছে ৷
ব্যাক্তিটি ওভাবে ঝোলায় হাতরে কি যেনো খুঁজচ্ছে ৷
তবে কি ঔষধ? না অন্য কিছু?
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাক্তিটিকে দেখছিলাম ৷
আমি শ্বাস কষ্টের অনেক রুগি দেখেছি ৷
এমন কখনও দেখিনি ৷ কী তার উৎপ্রেরণ, কি তার নিস্তল আবেগ ৷
কষ্ট তো কষ্টই ৷ হঠাৎ ভাবতেই…
আমি চমকে উঠলাম ৷ এ- কি!
ঔষদের বদলে বাঁশি! !
হ্যাঁ ব্যাক্তিটি ঝোলা থেকে
ঔষধের বদলে একটি বাঁশি বের করলো ৷
আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না
আমার মনের উৎবেগ ত্বরণের মতো এলো-মেলো হতে লাগলো ৷
এগিয়ে এলাম ৷ কাছে দাঁড়ালাম ৷
বাঁশের বাঁশি ৷
ব্যাক্তিটি বললো- খুউব কষ্ট ৷ বাঁশিতে একবার ফুঁ' দিয়ে তবেই শান্তি ৷
-শান্তি! বাঁশি বাজিয়ে! !
- হ্যাঁ গো ৷ বিহাগ না দরবারী! !
- কেনো ! কেনো! ঔষধ না খেয়ে ৷ বেহাগ , দরবারী?
ব্যাক্তিটি আর্তময়ূখে তাকিয়ে বললো- বুকে বড্ড বেশি অক্সিজেন জমেছে ৷ ভোরের মত ৷
হ্যাঁ, ভোরের মত ৷ ভোরের গন্ধের মতো ৷ হাসনা কিম্বা দোঁপাটির ৷
ভোরের একটা অতীত আছে ৷
আছে বর্ষবরণ ৷
যাকে আমরা প্রভাত বলি ৷ ভোরের অস্ত আছে ৷ কষ্ট আছে ৷ এমন কী গোধূলী ভোরও আছে ৷
শুধু নেই ভৈরবী ৷
তবে ব্যাক্তিটির কী আছে?
জীঞ্জেস করলাম- কেনো কেনো?
ব্যাক্তিটি বললো- বাঁশি যে অক্সিজেন খায় ৷ বুকের বিষ খায়
৷ কণ্ঠের রক্ত খায় ৷ মাথার মধ্যেকার শব্দ খায় ৷
শব্দ খায় ৷ হ্যাঁ শব্দ খায় ৷
অনাবিল আনন্দে খায় ৷ সে তো আমার কবিতাও খায় ৷ তবে ব্যাক্তিটির কী হতে পারে?
আমার শব্দগুলো মাঝে মাঝেই
আমাকে অন্ধ বৈরাগ্য করে দেয় ৷
হাড়িয়ে দেয় কবিতা ৷ হাড়িয়ে যায় হাত থেকে খসে পরা কলমের শব্দ ৷
ব্যাক্তিটি দরবারী ধরলো ৷ তানসেনের সেই বিচ্ছেদ- সুর ৷ বিচ্ছেদকে শুধু বিচ্ছেদ বললে ভুল হবে ৷ বিচ্ছেদেরও একটা মিলোন আছে ৷ সে মিলোন অপার- মিলোন ৷
আমি কান পেতে থাকি ৷ শব্দ খুঁজি ৷ ভোর খুঁজি ৷ আরও খুঁজি কোমল গান্ধার ৷
খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে না গিয়ে থেমে যায় পুরনো একটা বৃত্তের মধ্যে ৷
সে পুরনো অনেক পুরনো ৷ ঠিক পুরনো পোষাকের মত ৷ পুরনো বৃষ্টির মত ৷ পুরনো সূর্যের মত ৷ পুরনো নদীর মত ৷
আবার, সেই পুরনো পঁচিশ বছরের মত ৷
আমি বাঁশি শুনতে শুনতে আনমনে বলে ফেলি--
বাঃ! বাঃ! ! তুমি যে সেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা ৷ কি বিমর্ষ তাঁর শব্দ ৷ কী তীর ডাকার ভঙ্গি ৷ কী তাঁর উৎপীড়ন ৷
মন নীরব হয়ে যায় ৷
কেঁদে উঠে আকাশ বাতাস সূর্য্য ৷
চাঁদ ঔ চেয়ে থাকে ৷
সূর্যকে পিছন ফিরে ৷
ব্যাক্তিটিকে কিছু বলার আগেই দেখি ৷
পাশে একটি নারী ৷
ব্যাক্তিটি নারীটিকে দেখে , অশরীরী চোখে ৷
তারপর থামিয়ে দেয় বাঁশি ৷
তারপর স্থান ত্যাগ ৷ কেনো! কেনো! !
- এই ৷ শোন ………… শোনো ৷ আমি ভাষাটা ভুল ভেবে আবার বলি - এইযে শুনুন ৷
ব্যাক্তিটি আমার দিকে তাকিয়ে, নারীটির দিকে তাকালো ৷
নারী তাঁর পঁচিশ বছরের অতীত ৷
পুড়ে যাওয়া নদী ৷ বিবর্ণ নদী ৷
যে জমিতে শস্যের বদলে
জন্মেছিল আগুন ৷
পুড়ে গিয়েছিলো মাটির গন্ধ রস
হাড়িয়েছিলো নির্ভূল কল্পনার নির্মলতা
এরজন্যই কি ৷ সেই পঁচিশ বছরের সূর্যউদয় সূর্যাস্তের
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা ?
আমি বিব্রত হৃদয়ে নারীটির কাছে দাঁড়িয়েও কিছু বলতে পারলাম না ৷ ব্যাক্তিটি ততক্ষণে আমার কাধে হাত রেখে বললো- এ বাঁশি সবসময় বাজে না ৷ মনের উপচিত পরাধিনতার পর্দাটা সরতে সরতে একটা অস্পষ্ট মুখ বেরিয়ে আসে ৷ তখন বাঁশি তার অপন গতি ফিরে পায় ৷ হ্যাঁ হ্যাঁ সত়্যি বলছি ৷ অগ্নিদাহ জমি ৷ বিবর্ণ নদী এবুকটাকে অবহেলা করেছিল ৷ ( একটু থেমে) ৷ সেই পঁচিশ বছর আগে ৷
ব্যাক্তি মিলে যায় শব্দহীনতায় ৷ সূর্যাস্তের মত ষড়ঋতুর আবর্তন ৷
ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের আটপৌড়ে মন ৷৷

শনিবার, জানুয়ারী ৭

আগে আর আজ


আগে ও আজ
দেবজ্যোতিকাজল

মেয়েটি আর মেয়েটি নেই ফলদ উদ্ভিদ
ছেলেটিকে সৃষ্টি করেছিল তার শাখায়-প্রশাখায়
হঠাৎ উদ্দাম ও তার সাহসীতম ফলা আঙ্গুলে
মুড়িয়ে দিয়েছিল তার রঙিন খোসায় ।
:
মেয়েটি রূপবতী গাছের ডালপালা ভরিয়ে
উত্তেজনা আনন্দময় দিবসের জ্বলা মোমবাতি
ছেলেটি আর মেয়েটি দেরাজের আয়নায় পরস্পর
মেয়েটি চুম্বন ছিনিয়ে নিত কেটেছে যৌবন
:
মেয়েটি ঊনিশ শো চুরানব্বই ছেলেটি দু হাজার ষোলো
পৃথিবী ঘুড়ে তার ডানায় মাঝখানে নির্গমন
শুই কিন্তু জেগে থাকে চোখ অত্যাচার স্মৃতি
মনে পড়ে সেই দিন প্রেমের মিষ্টিস্বাদ উষ্ণ জিভ
ছেলেটি অকিঞ্চন শিশু মেয়েটি মাকড়সা যুবতী ।
*
মেয়েটি আর মেয়েটি নেই ফলদ উদ্ভিদ
ছেলেটি একা নির্মম নীলবাতি অন্ত ব্যঞ্জনবর্ণ ।

মৃত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা


তাপ ভরা হলুদ আকাশকে বলেছিলাম,
“ তুমিও কি সাম্প্রদায়িক ?”
প্রাচীন ঠাণ্ডা ঈশ্বর নরম মেঘে
হাত বাড়িয়ে আমাকে ডেকে,-
জীঞ্জেস করেছিল ,“ পৃথিবী কেমন আছে ?”
কিছু হারিয়ে যাওয়া শিশুদের মত
আম্রসার আকাশে , কথা ছুড়ে দিলাম ,
“ কে তুমি ?”

গুটিসুটি মেঘে মাকড়সা কাপড়ে -
লুকাতে পারেনি দাঁত আর নখ ।

অনিচ্ছার চোখ চত্বরে , অবাক এক দেখা,
এ যে পাখি নয়
শরতের ধবল মেঘ নয়
বৈচিত্রের নীল প্রান্ত নয়
বিজ্ঞান বাতাস নয়
স্বয়ং ঈশ্বর !

দেবদূত কী দিতে পারে ধর্মহীন ভালবাসা !
পরাজিত আকাশ , প্রেতলোক ঈশ্বর
ঠাণ্ডা হয়ে মৃত্যুবরণের তাবুঘরে
শিশুর চোখের মত নিথর স্নেহে
পৃথিবী গলে শক্ত দাম্ভিকতায়
দীর্ঘ নেশাগ্রস্ত ।

সহাস্রাব্দের খেলা , ঘুম , খাবার , হাসি ,কল্পনা
আজ তা ভয় আর বিবর্ণ পুরাতন
আমি লড্জিত , হে মানব জাতির পিতা
অবিশ্বাসীদের মত লজ্জিত ।

কে সত্য , কে ভঙ্গুর
কে শান্তি , কে ক্ষমা
কে মানুষ , কে অমানুষ
কে প্রতিবাদী , কে অত্যাচারি
আমাকে কিছু বলুন , হে মানব জাতির পিতা
আমি লজ্জিত অনুভব করছি-
অবিশ্বাসীদের মত ।

আমি বদ্ধ , খুঁজে পেতে তোমায়
প্রার্থনার হাত ধূলো বালিতে কালি
আমার অন্তর পর্যন্ত পৌঁছতে
বিশ্বাসের মৃত্যুদণ্ড ঘটে ।


হে মানব জাতির পিতা !!

অনুকবিতা




রাত যখন চাঁদের গায়ে ঝুলন্ত উদ্যান
হাওয়ায় ভাসে প্রাক্তন প্রেমিক পশ্চিম কোণে ।
আকাশ ছানে কালো মেঘ নির্লজ্জ দক্ষিন ঝড়
তুমি সাত বছর দেহ দেহ পুতুল , নদীর প্রানে ।

মরিচা নীল

মরিচা নীল

পাথরে খোদাই করা তোমার নাম
শব্দ অনাগ নামাঙ্কিত
তোমার শরীর গন্ধ সমুদ্রে লুকানো
ঢেউ তোলা উপবৃত্ত তরঙ্গিত ।

নিষিদ্ধ অনুভূতি জীবন্ত
রাতের বিছানায় জল প্রপাতে ঝরে
আলো-ছায়ার নীচে সারাংশ
নির্বেদ মিছিলের লুকানো ভারে ।

যতিচিহ্ন এতিম হয়ে শবাকার বর্ণমালা
ফিসফিস কবিতা বুকে-আমি স্মরণ উতলা ।



লেখার ডাগর মাঠ

শুক্রবার, জানুয়ারী ৬

তোমার স্তনের উপরে উড়ন্ত ঠোঁট



তোমার স্তনের উপর উড়ন্ত ঠোঁট প্রজাপতি
নিসঙ্গ রোদ ,ফুলময় মিষ্টি লাল লীলিয়া
তুমি তুমি নিহত শব্দ বিছানা জুড়ে ।
স্পর্শে বিহ্বল , উত্তেজনায় বন্য নীল ঢেউ
গরম হাওয়া নীল বোধ, সমুদ্র গিলে খায়
তুমি আমার হাতের মধ্যে খেলছ কুমারী হাসিতে
দিবস থেকে দিবসে , স্থগিত করেছ চলা ।
তারপর-
অদ্ভূত এক আলো জ্বলে ,তাতে জ্বলজ্বল
অন্ধকার তরঙ্গ , পাতা মরমরে রাত্রিবেলা
চমৎকার জাদুতে দিন ফুরিয়ে রাত আসে-
জানান না দিয়ে । আমাদের প্রেম প্রমোদে
হঠাৎ তোমার আঙ্গুল নরম অথচ দৃঢ় উদ্দাম
এক মুহূর্ত থেমে ঠোঁটের উৎসে হাসির ডোরাকাটা রসিক প্রদীপ্ত তোমার চোখে-মুখে ;
হে প্রেম তুমি হরিণ কামনায় গন্ধ মৃগনাভি ।

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৫

গুচ্ছ সময়







সিঁড়ি ভেঙ্গে নীচের দিকে নামে রৌদ্দুর
চোখ খুলে হাই তুলে বালিশে সকাল
ভোরের বাতাস শীত প্লাবিত বাড়িঘর
শহর স্ট্রিপস পাথর গন্ধ আপনি জীবন
শিশু ডায়েরী অঙ্ক হিসেব গুচ্ছ সময় ।।

বুধবার, জানুয়ারী ৪

এলোমেলো বিজয়












ঠোঁটে জমাট মেঘ
অতিশয় গোপিত কূজন

অভিশাপ্ত প্রতীকি মেমরি
শরীর ঠাণ্ডা প্রতিরোধ কানাগলি দুঃস্বপ্ন

রৌদ্র উজ্জ্বল পাহাড় অভিভাব
অসংলগ্ন পিরুসের বিজয় ।

ননসেন্স • উপন্যাস




এক

[] মে আই সিট হিয়ার ?


• হোয়াট ব্রিংস ইউ হিয়ার ?


[] নো…


• দেন্ ইউ আর এলাউড আই ।হ্যাভ নো অবজেকশন । আর তাছাড়া , এটা পার্ক সবার সমান অধিকার আছে । যেকোন লোক ,যেকোন জায়গায় বসতে পারে । একটু থেমে , কি বললাম বুঝলে ? ননসেন্স…


• হুম । মেনী থ্যাঙ্কস


[] হোয়াট ইজ সি রীজন ?


• আই এ্যাম ডেড টায়ারড ।


আমি আর কথা না বাড়িয়ে ভাবলাম-" আমি খুব ক্লান্ত " হোয়াট! কেন ক্লান্ত ? ব্যাগ থেকে জলের বোতলটা নিয়ে , বাড়িয়ে ধরলাম । সিগারেটে টান দিয়ে বললাম, ধরুণ । ঠাণ্ডা জল , চোখে মুখে দিয়ে দু এক ঢোক গলায় ঢালুন ভাললাগবে ।


মেয়েটি জলের বোতল নিয়ে , ছোট্ট করে বলল ,- আপনাকে একটু বিরক্ত করব ।


[] করুণ


• প্রথম বিরক্তটা হলো , আপনার সামনে রাখা যে চারটা বই আছে তার একটা নিতে পারি কি ?


[] নিন । এবার বলুন , দ্বিতীয়টা …


মেয়েটা একটু সংশয়ে বলে উঠলো , না , মানে আপনি ওটা কি বই পড়ছেন ?


[] টিবেটান বুক অফ দি ডেড ।


• মেয়েটা অকৃঞ্চিৎ হেসে হড়বড়িয়ে বলল , " মরতে না শিখলে পরিপূর্ণ ভাবে বাঁচা যায় না । মৃত্যু জীবনের আর এক অধ্যায় ।"


[] মৃত্যু দেখে ভয় কর ? একটু থেমে , তুমি করে বললাম । যা বলছিলাম , মৃত্যু আর পূনর্জন্মের মধ্যবর্তী অবস্থান ।


আমার কথা শেষ না হতেই । মেয়েটি নির্ণিমেষে বলে বসল , আপনি পুনর্জীবন বিশ্বাস করেন ?


[] না


• কেনো ?


[] মানুষের একটাই জীবন বলে । ধর্ম মানুষের মাথা নষ্ট করেছে । কাজের কাজ কিছু হয়নি । ধর্ম হল করে খাওয়ার বাক্স ।


• তবে যে পড়ছেন ?


[] যারা নাস্তিক তারাই সবচে বেশি ধর্মের বই পড়ে । আর আমি তো একটা…


• আপনি নাস্তিক ?


কথাটা শুনে চমকে উঠলাম । আমি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে । মেয়েটার মুখের দিকে তাকালাম । বুকটা ছ্যাৎ করে উঠল । মেয়েটার অপূর্বতায় আমার মনটা ঝুলে রইল । তার সঙ্গে জিহ্বাটা হালকা হয়ে নড়ে উঠল । ভিতরে দুটো শব্দ তরঙ্গে খেলে গেল । হাউ বিউটিফুল । কি দেখছি ? খুব ক্লান্ত লাগছিল । পুরোপুরি নয় । তবে অনেকটাই । মেয়েটাকে আমারও বলতে ইচ্ছা করল । ওগো সুন্দরী , আমিও যে ক্লান্ত হয়ে উঠছি । ক্লান্ত চোখ দুটো ভূত দেখার বিরতি টানল ।

মেয়েদের মুখের দিকে হ্যাংলাদের মত তাকাতে নেই । অসভ্যতা প্রকাশ পায় । আমার ঘোর কাটতেই । কোন শব্দ না করে বইটা দেবার উদ্দেশ্যে হাতটা বাড়িয়ে ধরলাম ।


মেয়েটি আমার হাত থেকে বইটি নিয়ে । মোলায়েম ভাবে বলল , কনগ্রাচুলেশন ।


মেয়েটি নড়েচড়ে বসে । বইটার পৃষ্টা উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখতে লাগল । বেশ মনযোগী মনে হল । মেয়েদের ধর্য্য আর একাগ্রতা বেশি । আমি মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর শ্বাস নিয় । ততক্ষনে মেয়েটি একটু পড়েই বইটা বন্ধ করে আমাকে ফেরত দিয়ে মিয়ানো গলায় বলল , " বইটা পড়েছি । তারচে আপনিই পড়ুন । লেখক বই-এর এক জায়গায় লিখেছেন , ' মরতে না শিখলে পরিপূর্ন ভাবে মরা যায় না ।' একটু থেমে , যারা বুদ্ধিস্ট তারা মৃত্যুকে জীবনের কাছাকাছি রাখে । কি বলুন ! তাই না ?


আমি ঘাড় নেড়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললাম ," হ্যাঁ " । পুনর্জন্মের স্রষ্টা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য । হিন্দু মতে । আর অষ্টম শতাব্দীতে পদ্মসম্ভব বার-দো-থোস-গ্রোল রচনা করেন । তিনিও বুঝাতে চেয়েছেন ,বইটিতে , মৃত্যু আর পূনর্জন্মের মধ্যবর্তী অবস্থান । যা পাপ বা পূর্ণের ফলভোগ ।

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ৩

নিষিদ্ধ অনুভূতি

আকাশ নীরব স্বপ্ন , দীর্ঘশ্বাস শব্দ
দুঃখ তাজমহল সত্যের বক্ররেখা
এটা হবার ছিল ,অপৃষ্ট ত্রুটি প্রতীয়মান
অস্ফুট ঠোঁট , অন্তকাল স্পর্শ স্মৃতি-
আণ্ডারলাইন মেমরিতে রাত্রিবাস ।

আহত শতাব্দী প্রবৃত্তি যুক্ত কবিতা লেখে
চাদর পেতে তৈলচিত্র আঁকে খেদ লঙ্ঘন টেনে ।
হলুদে পাণ্ডুর , রক্তে ব্যক্তি স্বাধীনতা
জ্বলন্ত শরীর , শুষ্ক অশ্রুজল দ্বার ঘেঁষা নীরবতা
এটাই হবার ছিল ,  শোকের অঙ্কন ।
এটাই মানা হয়নি , নিষিদ্ধ অনুভূতি ।

সোমবার, জানুয়ারী ২

আনুষঙ্গিত কোনও কিছু

তুমি যখন বললে ,
তোমায় আমি কিনেছি ।
আমি সব সময় ভাবি ,
যতটা চোখ যায় তাকিয়ে ,“হ্যাঁ” ।

তুমি যখন বললে ,
আমাকে তুমি নাও পেতে পার ।
আমি সব সময় ভাবি ,
প্রতি ইঞ্চি অন্ধকার দূরত্বে তাকিয়ে, “হ্যাঁ” ।

তুমি যখন বললে ,
তুমি আমার তার বদলে  ।
আমি সব সময় ভাবি ,
আমার অভ্যাস অনুভব দু'চোখ অশ্রুত,“হ্যাঁ” ।

আমার প্রেম , মিষ্টি অত্যহত্যার লীঢ়
তুমি ভেব না ।
আমি তোমাকে নিয়ে ভাবি মানানসই ।

রবিবার, জানুয়ারী ১

তিনটি কবিতা

সৈকতে হাঁটছি যুগলে শঙ্খচিল
একটি উষ্ণ গ্রীষ্মে পাশাপাশি
একে অপরের সঙ্গে কূজন পাখি
ব্যাকগ্রাউন্ডে হাসির প্রাই
দেখে মনে হচ্ছে সবাই আসবে
একটা চমৎকার গ্রীষ্মকাল কে
বুকের মাঝে তুলে নিতে

আরো সময়ের জন্য ডাকি
আরো সময় ধরে ভালবাসা
আরো মন ফেরাবার জন্য ক্ষমা
আরো সময়ের জন্য ধর্য্য স্তুত্বি
আরো সময় উপলব্ধি করতে সক্ষম
আরো বেশি সময় বেঁচে থাকতে পাশে
আরো সময়ে মৃতবৎ ,মিষ্টি ফুলে প্রজাপতি

আমি টের পায় ঘনান্ধকার
আমি টের পায় ,আমার রক্তে
প্রেমিকার ছায়ায় বিষের আলিঙ্গন..।